আসসালামুয়ালাইকুম,
সো গাইজ আজকে আমরা একটু ভিন্ন ধরনের পোস্ট করতে চাচ্ছি।

শুরুতেই বলে দিই পোস্টটি সম্পুর্ণ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল থেকে এবং কিছুটা আমার নিজের আইডিয়া থেকে করা।

আজকালকার সময়ে স্মার্টফোন আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই স্মার্টফোনগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এতটাই প্রভাব ফেলছে যে এখন মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পরেই আগে স্মার্টফোন দেখছে।

যদিও বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এর কাজ অনেকটাই স্মার্টফোনের মাধ্যমেই করা যাচ্ছে। ঠিক এই জন্যই এই গেজেটটির ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে।

বেশিরভাগ মানুষই করছেন কি সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে স্মার্টফোন চেক করে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এই স্মার্টফোনেই আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলছে।

‌সকালে ঘুম থেকে ওঠার ১ ঘন্টার মধ্যে স্মার্টফোন চেক করা আমাদের মস্তিষ্ক

এবং চোখের অনেক ক্ষতি করে। সম্প্রতি স্মার্টফোন ব্যবহার সম্পর্কিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ৮০ শতাংশেরও বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই তাদের ফোন চেক করে।

স্মার্টফোনের আলো চোখের রেটিনাকে প্রভাবিত করছে।

কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের ডিসপ্লে থেকে নীল আলো নির্গত হয়। যা ক্ষতি করে চোখের রেটিনাকে। গবেষণায় দেখা গেছে রাতে ঘুমানোর পর চোখ পুরোপুরি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই স্মার্টফোনের নীল আলো সরাসরি রেটিনার উপর পড়াতে এটি স্নায়ুর ক্ষতি করে। এর সাথে চোখের ব্যথা বা চোখ থেকে জল পড়ার মতো সমস্যাও ডেকে আনে।
এছাড়াও সকালে ফোনের ব্যবহার মস্তিষ্কের কোষ এবং স্নায়ুর উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে ফোন ব্যবহার করা সরাসরি আপনার মস্তিস্ককে প্রভাবিত করে এবং এটি স্ট্রেসের মাত্রাও বাড়িয়ে তোলে।

তবে এই পদ্ধতি গুলা ফলো করলে মানসিক চাপ কাটানো সম্ভব।

ঘুম থেকে উঠেই ফোন ব্যবহার না করে আপনি চাইলেই আপনার বাড়ির আশেপাশে কোথাও ঘুরতে পারেন অথবা ব্যায়াম করতে পারেনতাতে আপনার চোখে এধরণের কোনো সমস্যা দেখা দেবে না আবার মানসিক চাপ ও কমবে। তাছাড়া আরও একটা গবেষণায় জানা গেছে মর্নিং ওয়াক বা নিয়মিত ব্যায়াম করলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ৩৮ শতাংশ কমিয়ে দেয়।

তো আজকের মতো এই পর্যন্তই ছিল,
পোস্টটি কেমন লাগলো নিশ্চয়ই জানাবেন কমেন্ট বক্সে।
Allah Hafez